স্টাফ রিপোর্টারঃ
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে আনন্দঘন পরিবেশে দেওয়া হলো প্রতীক বরাদ্দ। প্রতীক পাওয়ার পরপরই এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে গণ মিছিল বের হয়।
মঙ্গলবার, (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে নাসিক নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তার কাছ থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী আঃ রহিম মেম্বারের উপস্থিতিতে (ঘুড়ি) প্রতীক পেয়ে বিকেলে উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে এলাকাবাসী ও সমর্থকদের নিয়ে গণ মিছিল বের হয়। এ সময় সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ড এলাকায় ঘুড়ি প্রতীকের ভোট চেয়ে স্লোগানে মেতে ওঠে ১নং ওয়ার্ড এলাকা। নেমে আসে নির্বাচনী আমেজ।
মিছিল শেষে কাউন্সিলর প্রার্থী আঃ রহিম মেম্বার এলাকাবাসী ও ভোটাদের বলেন, সাধারণ মানুষের মাঝে আজ যেভাবে জনজোয়ার তৈরি হয়েছে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পারলে ইনশাআল্লাহ আমাদেরই বিজয় হবে, বিজয় হবে জনতার, জয় হবে মেহনতী মানুষের। তিনি আরো বলেন, আপনাদের মূল্যবান ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধি হয়ে পূর্বেও আমার সাধ্য অনুযায়ী আপনাদের সুখে দুঃখে পাশে ছিলাম ভবিষ্যতেও পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমি আপনাদের পাশে থেকে তারুণ্যের অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করবো, শিক্ষাবান্ধব একটা আদর্শ ওয়ার্ড গড়তে চাই।
এছাড়াও, ১ নং ওয়ার্ডে এলাকায় গণসংযোগ করেন সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রহিম (মেম্বার)। তিন হাজারেরও বেশি জনবল নিয়ে পাইনাদি, নতুন মহল্লা,বাতানপাড়া,শাপলাচত্বর, ধনুহাজী, হিরাঝিল সহ আশপাশের এলাকায় আনন্দ মিছিল সহ নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখা যায়। এসময় তিনি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে দোয়া ও সমর্থন চান। উল্লেখ্য যে, তিনি এর আগেও টানা দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ১নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রহিম মেম্বার সম্পর্কে জানতে চাইলে এক ভ্যান চালক বলেন, "হঁচিশ বছর ধরে এই এলাকায় থাকি রহিম মেম্বারের মতো এমন সৎ আন্তরিক কাউরে হাইছিনা, দেখিওনা তার কাছে যেহানে কাগজ নিয়ে গেছি, হেইনো কাড়োইয়্যাই সাইন দিছে। এমন কাউন্সিলর কে না চায়! তিনি বলেন, আমরা গরীব মানুষ রিক্সা চালাইয়্যা খাই, রাজনীতি বুঝিনা, আমরা এমন একজন কাউন্সিলর চাই যে আমাদের কষ্ট বুঝবো, আর বিহদে-আহদে সাথে থাকবো"। এসময় এক ব্যাবসায়ী র সাথে কথা বললে তিনি খুব আগ্রহ নিয়েই বলেন "আগামী প্রিয়ডে রহিম চাচা বিকল্প কোন ভাবার সুযোগ নাই। ব্যাবসায়ীদের সুবিধা ও চাঁদাবাজ মুক্ত এলাকা গড়তে আমরা রহিম চাচাকেই চাই"। একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানান যে, রহিম কাকা একজন শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তি, শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের প্রতি অন্যরকম গভীর ভালোবাসা। তিনি পরিচালনা করছে অত্র এলাকার স্বনামধন্য স্কুল মিজমিজি রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়। তিনি বিজয়ী হলে এলাকায় শিক্ষার মান উন্নত হবে। এলাকার এক যুবক বলেন, এলাকার উদীয়মান যুব সমাজকে মাদক, ইভটেজিং,কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করতে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে রহিম ভাইকে কাউন্সিলর হিসেবে বিজয়ী করা আমাদের দায়িত্ব। নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি একজন মেয়ে, আমার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত সহ রাস্তার মোড়ে মোড়ে বখাটের দৌরাত্ম্যে কমাতে রহিম মামার জায়গায় দ্বিতীয় কাউকে এই মুহূর্তে চিন্তা করছিনা। তিনি আরো বলেন, এইবার আমি প্রথমবারের মত ভোট দিবো, আমার অতিরিক্ত একটা উৎসাহ কাজ করছে, তবে এবারের প্রথম ভোট আমি অবশ্যই রহিম মামার জন্য থাকবে। এছাড়াও তিনি তার সহপাঠী -পরিবার ও পরিচিত বিবেকবান সবাইকে ভেবেচিন্তে ভোট প্রদানের আহবান করেন। সর্বোপরি সকল শিক্ষার্থীরাই একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা রেখেছেন।
এর আগে আজ ৩০ নভেম্বর, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নাটোর, নোয়াখালী, চট্রগ্রাম সব বেশ কিছু পৌরসভায় আগামী বছরের ১৬ ই জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতি মনোনয়ন পত্র দাখিল ১৫-ই ডিসেম্বর, মনোনয়ন পত্র বাচাই ২০ ডিসেম্বর, প্রার্থীত প্রত্যাহার ২৭ ডিসেম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে থেকেই প্রার্থীরা ঘুরছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে। পুরো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় বইছে নির্বাচনী আমেজ। ভোটারের দ্বারস্থ হচ্ছেন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা। এদিকে পিছিয়ে নেই সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। ভোটার ও সাধারণ মানুষের একটাই প্রত্যাশা কোন প্রকার সংঘাত ছাড়াই নির্বিঘ্নে পছন্দের প্রার্থীকে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে চান।
0 Comments